রাজশাহী: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। তবে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতের পছন্দ না। তারা টেনেহিঁচড়ে আমাদের নামাতে চায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রধান কুশীলব হলেন দুইজন। এদের একজন হলেন খন্দকার মোশতাক ও অন্যজন জিয়াউর রহমান। সকালে জিয়া সেভ করছিলেন। এতো সকালে তিনি কোথায় যাওয়ার জন্য সেভ করছিলেন? হত্যার মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের উত্থান। জিয়া ঘটিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট, আর তার ছেলে তারেক ঘটিয়েছে ২১ আগস্ট।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী, দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে যেত। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাই সব কিছুই থমকে গিয়েছিল। বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশীরা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা গ্রহণ করেনি। তাই তারা এখন বিদেশীদের কাছে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশীদের কাছে গিয়ে কোনো কাজ হবে না। আপনারা কথায় কথায় ভারতকে গালি দেবেন। তাহলে বিদেশীরা কেন আপনাদের সমর্থন দেবে?
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আদিবা আনজুম মিতা এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, আয়েন উদ্দিন এমপিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।