বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারকে ভীরু ও কাপুরুষ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এরা দেশের ফ্যাসিবাদী রাজত্ব কায়েম করেছে। আর এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে জনগণকে উদ্ধার করার যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাকেই নয়, যিনি কোনদিনই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না সেই ডা. জোবাইদা রহমানকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি তারেক রহমানের সহধর্মিণী।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ভীরু ও কাপুরুষ। তারা প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদেরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছেন কোন চাপে আছেন কিনা- তিনি বললেন কোনো চাপে নেই, তবে বিবেকের চাপে আছি। আসলে সরকার চোখে অন্ধকার দেখছে। তাই তারা একেক সময় একেক কথা বলছে।
তিনি বলেন, আজকের দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরকার প্রধানের বিরুদ্ধেও ১৫টি মামলা হয়েছিল। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মামলাগুলো নাই করে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সরকার আজ তাদের পদন্নোতি দিচ্ছেন। আজ সমগ্র দেশ দুর্নীতি মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে বিনা অপরাধে আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে নেওয়া হচ্ছে, ফাঁসির আদেশ দেওয়া হচ্ছে। যারা অবৈধ রায় দিচ্ছেন সেইসব বিচারপতিদের আল্লাহর কাছে একদিন জবাব দিতে হবে। এই ন্যায় বিচারের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। অতীতের কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন। সেই শ্লোগানের কথা ভুলে যাবেন না- বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা।
তিনি বলেন, চাল-ডাল, বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বেড়েছে। সেদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভিসা পান না। ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। সেদিকে সরকারে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু তাদের একটাই চিন্তা কীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায়। আমরা অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি। এ আন্দোলন চূড়ান্ত আন্দোলন, এবার অধিকার আদায়ে মরণ যুদ্ধ করতে হবে। আমাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আর পথ নেই।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবি রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।