ঢাকা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রায় দিয়ে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময় এই আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। তবে এভাবে আন্দোলন কখনই স্তব্ধ করা যাবে না, বন্ধ করা যাবে না। দাবি আদায় না করে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন, শুধু তারেক রহমান নয়, যে জোবায়দা রহমান রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। সরকার বিচার ব্যবস্থাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানি করা হচ্ছে। জাতিকে চিরস্থায়ীভাবে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারেক রহমানকে যে ধরনের মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের খালাস দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিলো। এই আদালতকে ব্যবহার করে সব মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপি নেতাদের ২৫ বছর আগের মামলায় ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ আগস্ট) সারা দেশের জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
এর আগে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।