স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচে ডাম্বুলা অরার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৩ রানের পর বল হাতে এক উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ম্যাচে বি লাভ ক্যান্ডির বিপক্ষেও অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ২১ বলে ৩০ রানের পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে গলের ৮৩ রানের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন তিনি।
গলের করা ১৮০ রানের জবাবে ক্যান্ডি অল আউট হয়েছে মাত্র ৯৭ রানে। এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গল টাইটান্স। ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার শেভন ড্যানিয়েল ও লাসিথ ক্রুসপুলে। এই দুই ওপেনার যোগ করেন ৩৩ রান। ক্রুসপুলে মাত্র ১১ রান করে আউট হয়েছেন।
ড্যানিয়েলের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২৫ রান। তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ভানুকা রাজাপাকশে। এই লঙ্কান ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে মাত্র ৪ রান। এরপর চতুর্থ উইকেটে গলের ইনিংস টেনেছেন সাকিব ও টিম সেইফার্ট। দুজনই গলের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন। কামিন্দু মেন্ডিসের এক ওভারে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে প্রথম ছক্কাটি ছিল মেন্ডিসের ফুলার লেন্থের বলে ওয়াইড লং অফ দিয়ে উড়িয়ে। পরের বলে স্লো ফুলটস পেয়ে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারের সাকিব।
অবশ্য এরপরও সাকিবের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন সেইফার্ট। মাত্র ২৪ বলে এই কিউই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সাকিব ২১ বলে ৩০ রান করে রান আউট হয়েছেন। এর ফলে সেইফার্টের সঙ্গে সাকিবের জুটি ভেঙেছে ৯৫ রানের জুটি ভাঙে। এরপর সেইফার্টকে সঙ্গ দিতে আসেন দাসুন শানাকা। সেই ফাইফার্টের ঝড়ো ইনিংস শেষ হয়েছে মোহাম্মদ হাসনাইনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। ৫ টি করে ছক্কা ও চারে ৩৯ বলে ৭৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে শানাকার ৫ বলে ৯ ও লাহিরু সামারাকোনের ৪ বলে ৬ রানে বড় পুঁজি নিশ্চিত করে গল।
জবাবে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ক্যান্ডি। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন আশেন বান্দারা। এ ছাড়া থানুকা দাবারের ১২ ও ইসুরু উদানার ১৬ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। সাকিব নিয়েছেন আসিফ আলী ও আমির জামালের উইকেট।
গলের হয়ে সাকিব ছাড়াও দুটি করে উইকেট পেয়েছেন কাসুন রাজিথা, রিচার্ড এনগারাভা ও তাবরাইজ শামসি। একটি করে উইকেট গেছে লাহিরু সামারাকোন ও আকিলা ধনঞ্জয়ার ঝুলিতে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে গল টাইটান্স।