ঢাকা : তরুনদের ভোট চোর সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু । তিনি বলেন জনগণ প্রস্তুত, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা এখন জালিম সরকারের কাছ থেকে মুক্তি চায়।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
টুকু বলেন, এই সরকার একটি বেঈমান সরকার । ঘরে ঘরে চাকরি দিবে বলেছিল। ঘরে ঘরে বেকারত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। জনগণ ভোটের অধিকারও হারিয়ে ফেলেছে। তরুনদের ভোট চোর সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না।
যুবদল সভাপতি বলেন, আমরা হাসিনার পতন ছাড়া কেউ ঘরে ফিরে যাবনা। আমরা একদফা দাবী আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবনা।
সমগ্র দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই, এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এখন সময় তাদের বিদায় নেওয়ার এবং বিদায় নিতেই হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ও উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মোস্তফা সাগর, হারুনুর রশীদ শিশির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, এড. আজিজুর রহমান আকন, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, মো. দুলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন প্রমুখ।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসেন। সকাল নয়টার মধ্যে পুরো নয়াপল্টনে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। দুপুরে এর পরিধি আরামবাগ, ফকিরাপুল, কাকরাইল, শান্তিনগর, দৈনিক বাংলা এবং পল্টন মোড় পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। সমাবেশ চলাকালে দুদফা বৃষ্টি নামলেও অব্যাহত থাকে সমাবেশ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মুখরিত করে রাখে পুরো এলাকা।
বৃহস্পতিবার রাত দশটায় শুরু হয় মঞ্চ নির্মাণ কাজ। নয়টি ট্রাক দিয়ে করা হয় মহাসমাবেশের ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ। আশেপাশে লাগানো হয় দেড় শতাধিক মাইক।