আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ উৎপাদক সংস্থা ফাইজারের একটি বড় কারখানা টর্নেডোতে ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। সংস্থাটির সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, নর্থ ক্যারোলিনার রকি মাউন্টের একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ওষুধ উৎপাদন করা হয় না, সেটি মূলত গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ফাইজারের সিইও জানিয়েছেন, এই ক্ষতি হওয়ায় ফাইজারের ওষুধ সরবরাহে অনেক বেশি প্রভাব পড়বে না। খবর রয়টার্সের
খবরে বলা হয়েছে, বুধবার আঘাত হানা টর্নেডো গুদামটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। তবে সেখানে উৎপাদন ব্যবস্থায় বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। বোরলা বলেন, ক্ষতি মেরামত করা একটি বিশাল কাজ হবে। কোনো কাঠামোগত ক্ষতি না হলেও প্ল্যান্টে সুবিধাগুলো পুনরায় চালু করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রটি কার্যকর করতে সর্বোচ্চ গতিতে কাজ চলছে। এর বিকল্প হিসেবে অন্যান্য কেন্দ্রকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
ফাইজারের রকি মাউন্ট প্ল্যান্ট বিশ্বের জীবাণুমুক্ত ইনজেকশনযোগ্য ওষুধের বৃহত্তম কারখানাগুলোর একটি। এর পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানেস্থেসিয়া, ব্যথানাশক এবং হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য সংক্রামক বিরোধী ওষুধ।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, মার্কিন হাসপাতালে ব্যবহৃত ফাইজারের জীবাণুমুক্ত ইনজেকশনের প্রায় ২৫% এই কারখানায় উৎপাদিত হয়।
আমেরিকান সোসাইটি অফ হেলথ-সিস্টেম ফার্মাসিস্টদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের ঘাটতি দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পৌঁছেছে। ফাইজারের কারখানায় ক্ষতির কারণে এই ঘাটতি আরও বাড়তে পারে।
ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে যে, ক্ষতির মূল্যায়ন করতে ও এই সমস্যা মোকাবেলা করতে তারা ফাইজারের সঙ্গে কাজ করছে।
করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ফাইজার। মহামারীর সময় বিশ্বজুড়ে এই সংস্থার কোটি কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।