ঢাকা: মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন শিকদার মুসা ওমানে গ্রেফতার হয়েছেন। এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। বাংলাদেশের হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি ডেস্কের।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর এখন ওমান থেকে তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে বলে পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
মহিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে গ্রেফতারের খবর আসে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমাদের পুলিশের একটি দল পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।’
গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুরে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করে। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে।