ঢাকা : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে র্যাবের দুই কর্মকর্তা—আলেপ উদ্দিন ও মহিউদ্দিন ফারুকি—নির্যাতন, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে মামুন জানান, শেখ হাসিনার দপ্তর থেকেই র্যাবকে অপারেশনের নির্দেশ দেওয়া হতো।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে অগ্রিম ভোট ভরে রাখার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেন তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। এছাড়া শেখ হাসিনা সরাসরি ‘লেথাল উইপেন’ ব্যবহারের অনুমোদন দেন। সেই সময়ের ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিবির হারুন এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে খুব সক্রিয় ছিলেন।
মামুন জানান, র্যাব-১ ইউনিটে টিআইএফ (TFI) নামে একটি গোপন বন্দিশালা ছিল, যেখানে রাজনৈতিক বিরোধী এবং সরকারের সমালোচকরা ধরে এনে আটকে রাখা হতো। এ ধরনের বন্দিশালা র্যাবের অন্যান্য ইউনিটেও ছিল।
তার ভাষ্য মতে, এসব কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল ভিন্নমত দমন এবং সরকারের সমালোচকদের ভয় দেখানো।