স্বাস্থ্য ডেস্ক : বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি সবজির নাম টমেটো। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যেগুলো একত্রে মিলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি একাধিক জটিল রোগ দূরে রাখার কাজেও এর জুড়ি নেই।
সে কারণে বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের কথায়, রান্নায় টমেটো ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিদিন কাঁচা টমেটো স্যালাড হিসাবেও খেতে হবে। এতেই শরীরের হাল হকিকত বদলে যাবে। শরীর হবে সুস্থ-সবল নীরোগ।
তাই আর দেরি না করে টমেটোর একধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর আপনিও নিয়মিত টমেটো খাওয়া শুরু করবেন। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
হার্টের বন্ধু টমেটো:
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বাড়লে তা হার্টের রক্তনালীর ভেতর জমতে পারে। এই কারণে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
তবে ভালো খবর হলো, টমেটোতে থাকা লাইকোপেন, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই একত্রে মিলে অনায়াসে হাই কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে পারে। এমনকি ব্লাড প্রেশার কমানোর কাজেও এদের জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং হার্টের হাল ফেরাতে টমেটোর সঙ্গে আঁতাত করে নিন।
বাড়বে ইমিউনিটি:
বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কবলে পড়ে ঘরে ঘরে লেগে রয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি! এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখার ইচ্ছে থাকলে বাড়িয়ে নিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে টমেটো।
কারণ এই সবজিতে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিনা ইমিউনিটিকে সক্রিয় করে তোলার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই একাধিক সংক্রামক রোগের ফাঁদ এড়াতে টমেটোকে দ্রুত ডায়েটে জায়গা করে দিন।
ফিরবে চোখের হাল:
সারাদিন কম্পিউটার ও মোবাইলের দিকে ঠায় তাকিয়ে আজকাল কম বয়সেই দৃষ্টিশক্তি কমছে। তাই চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এসব গ্যাজেটের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি ডায়েটে ‘আই ফ্রেন্ডলি’ খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।
চোখের জন্য উপকারী এমনই এক সবজি হলো টমেটো। এতে রয়েছে লিউটিন এবং জিয়াজ্যানথিন নামক দুটি উপাদান, যা কিনা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে পারে। তাই চক্ষুযুগলের খেয়াল রাখতে ডায়েটে এই সবজিকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!
কাছে ঘেঁষবে না ফুসফুসের সমস্যা:
কিছু গবেষণায় প্রমাণিত যে, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্য মহৌষধের সমান কাজ করতে পারে টমেটো। কারণ এই সবজিতে রয়েছে লাইকোপেন, লিউটিন এবং জিয়াজ্যানথিনের মতো একাধিক উপকারী উপাদান, যা ফুসফুসের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীর ডায়েটে এই সবজি থাকাটা মাস্ট।
দাঁতের সমস্যা নিপাত যাবে:
জিঙ্গিভাইটিস এবং পেরিওডন্টাইটিসের মতো সমস্যার ফাঁদ এড়াতে চাইলে প্রতিদিন পাতে থাকুক টমেটো। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
এই কাজটা নিয়ম মেনে করতে পারলে মুখোগহ্বরের ক্যানসারের ফাঁদও এড়ানো যাবে। সুতরাং সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে যত দ্রুত সম্ভব টমেটোর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। এতেই ফল পাবেন হাতেনাতে।