শিরোনাম

বিএনপির রাজনীতিই ধ্বংসের শেষ প্রান্তে : কাদের

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ নয়, বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

‘দেশ ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায়, তেমন দেশের জনগণ এবং সংবিধান ও আইন-আদালতকে ভয় পায়। আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন ইতোমধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা! তারা ক্ষমতা চায় কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হলো যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রু জ্ঞান করে তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না। বিদেশী প্রভুদের ওপর ভর করে তারা যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না, বরং দেশকে দুর্বল করবে। বিদেশীদের আপন করতে গিয়ে দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন ভিসা নীতি প্রকাশের পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ অতিশয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল। সরকার এবং দেশের জনগণের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছে। আর এখন বলছে ‘কোন দেশের ভিসানীতিতে কী আছে, না আছে, দেখতে চাই না।’ আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছে। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের আইন-আদালতের ওপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এমন কী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে এবং অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, কারাবরণ করেছে। সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এমন হয় না। বিএনপি ভাড়াটিয়া সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরো তীব্রতর করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবীর মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

সূত্র : বাসস

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com