স্পোর্টস ডেস্ক: বেশ ফুরফুরে সময় পার করছে অজি শিবিরে, ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজে এসেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। এ জয়ের জন্য বড় অবদান রেখেছে প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন।
ফলে সিরিজের প্রথম টেস্টের শেষ দিনে দুই উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে অজিরা। এর ফলে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) এজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৭৪ রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। তবে বৃষ্টিতে প্রথম সেশনের খেলা ভেস্তে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে এজবাস্টন টেস্ট। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলে দ্রুত দুই উইকেট হারায় অজিরা। ইংলিশ বোলারদের দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলে।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৮৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ সেশনে জয় পেতে অস্ট্রেলিয়ার আর প্রয়োজন ৯৮ পড়ে রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট।
চা বিরতির পর ১৯২ থেকে ২২৭ রানের মধ্যে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে অজিরা। তখন জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ৫৪ রান। হাতে দুই উইকেট। এমন অবস্থায় প্রথম টেস্টে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্যাট কামিন্স ও নাথায় লায়ান। এই দুই নিচের সারির ব্যাটসম্যান দেখেশুনে খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে ভেড়ায়।
প্যাট কামিন্স ৪৪ এবং লায়ান ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রড তিনটি এবং রবিনসন দুটি উইকেট নেন।
এর আগে দলীয় ১০৭ রানে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করা অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিনশেষে অপরাজিত দুই ব্যাটার স্কট বোল্যান্ড ও উসমান খাজার ব্যাটে দেখেশুনে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১২১ রানে বোল্যান্ডের উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ায় সফরকারীরা। তার বিদায়ের পর ট্রাভিস হেডকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন খাজা। দলীয় ১৪৩ রানে ফিরে যান হেড।
হেডের বিদায়ে হৃদয় ভেঙে যায় অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের। পরে ক্যামেরুন গ্রিনকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন খাজা। পরে খাজা ৬৫ ও গ্রিন ২৮ রানে আউট হলে অজিদের জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায়। কিন্তু শেষমেষ কামিন্স ও লায়ানের ব্যাট জয়ের মুখ দেখে তারা।
এর আগে ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে সোমবার চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। জো রুট ও অলিভার পোপ দুজনই এদিন রানের খাতা খোলেন। দারুণ খেলে দু’জনে জমিয়ে তুলেন জুটিও, আসে পঞ্চাশোর্ধ রান। ১৪ রান করে পোপ প্যাট কামিন্সের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তবে রোট থেমে থাকেননি, হ্যারি ব্রুকের সাথে গড়েন আরো একটা পঞ্চাশ রানের জুটি।
তবে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূরণ করা হয়নি জো রুটের, ৪৬ রান করে নাথান লায়নের শিকার হন তিনি। সমান ৪৬ রানে ব্রুককেও ফেরান লায়ন। এরপর জনি বেয়ারেস্টোকেও (২০) নিজের শিকারে পরিনত করেন লায়ন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। যদিও ইনিংসটা বড় হয়নি তার, ৪৩ রান করে কামিন্সের শিকার হন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
এরপর ওলে রবিনসনের ২৭ ও মইন আলির ১৯ রানে শেষ পর্যন্ত ২৭৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংস থেকে ৬ রানের লিড পাওয়ায় যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০ রান। অজিদের হয়ে একাই চারটি করে উইকেট নেন নাথান লায়ন ও অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।