আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের শুরু হতে যাচ্ছে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক। অবিলম্বে নিজ নিজ দূতাবাস পুনরায় চালুর ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
সোমবার বলেছে যে তারা ছয় বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করেছে এবং অবিলম্বে তাদের নিজ নিজ দূতাবাস পুনরায় চালু করছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার জন্য দুই দেশের আগ্রহ ও আল-উলা চুক্তির ভিত্তিতে করা হয়েছিল, যা ২০২১ সালে সৌদি আরবে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের নেতাদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
এদিকে কাতার জানিয়েছে, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি সোমবার তার আমিরাতের প্রতিপক্ষ শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদের সাথে কথা বলেছেন। এরপর দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুবাইয়ে কাতারের কনস্যুলেটও ফের চালু হচ্ছে।
২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর ও বাহরাইন একজোট হয়ে কাতারের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। পররাষ্ট্র নীতিতে মতবিরোধের কারণে তারা কাতারকে কঠোর বয়কট করে। বয়কটকারী রাষ্ট্রগুলো দোহাকে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য অভিযুক্ত করেছে। কিন্তু কাতার বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে আঞ্চলিক পুনর্মিলন প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সৌদি আরব ও মিশর ২০২১ সালে কাতারের সাথে সম্পর্ক পুনরায় শুরু করেছে।
কাতার সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সাথে পুনর্মিলন করেছেন। আঙ্কারা লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাজুড়ে বেশ কয়েকটি সঙ্কটের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরোধিতা করেছে, যেখানে উভয় পক্ষ বিভিন্ন যুদ্ধরত পক্ষকে সমর্থন করেছিল।
এদিকে ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি এজেন্টদের দ্বারা সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার পর তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। গত বছর এরদোগান জেদ্দায় ক্রাউন প্রিন্সের সাথে দেখা করার পর ওই উত্তেজনা কিছুটা কমেছিল।
২০১৭ সালে কাতারের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় বিরোধিতাকারীদের একটি অভিযোগ ছিল যে দোহা ইরানের খুব কাছাকাছি ছিল। এপ্রিলে সৌদি আরব ও ইরান বেইজিংয়ে একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তাদের নিজ নিজ দেশে দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় চালু করেছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই