শিরোনাম
গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা পুণ্যের সন্ধানে মহাকুম্ভের পথে পুনম পান্ডে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৫, আহত শতাধিক এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি ফকিরহাটে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আটক ২ লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী

ঋণ সংকটে সফর কাটছাঁট করছেন বাইডেন

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানে জি-৭ বৈঠকের পরই যুক্তরাষ্ট্র ফিরবেন বাইডেন। ঋণ সংকটের কারণে কোয়াড বৈঠক এবং অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করেছেন তিনি। হোয়াইট হাউস এই তথ্য জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রোববার জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই বাইডেন দেশে ফিরবেন। তারপর তিনি আবার মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বাজেট নিয়ে যাতে মতৈক্য হয়, যুক্তরাষ্ট্র যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঋণখেলাপি না হয়, তা নিশ্চিত করবেন বাইডেন। খবর রয়টার্সের

বাইডেন ইতোমধ্যে হোয়াইট হাউসে কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রিপাবলবিকান কংগ্রেস সদস্যরা মনে করছেন, একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। কিন্তু হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে এখনো বিপুল মতবিরোধ আছে।

ঘটনা হলো, মার্কিন কংগ্রেসকে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের সীমা বাড়াতে হবে। তা না করলেও ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণখেলাপি হয়ে যাবে। মার্কিন সরকার যদি তাদের দায়বদ্ধতা পুরো না করতে পারে, তাহলে আন্তর্জাতিক আর্থিক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

বাইডেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওভাল অফিসে তিনি যে বৈঠকে বসেছিলেন তা ভালো হয়েছে। বাইডেনের কথা শুনে মনে হয়েছে, সমঝোতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

ম্যাকার্থিও সাংবাদিকদের বলেছেন, এই সপ্তাহের শেষে সমঝোতা সম্ভব। সম্ভাব্য আর্থিক বিপর্যয় নিয়ে তার মন্তব্য, ‘কীভাবে আমরা আলোচনা করব, সেই কাঠামোর বিষয়টি এখন আগের থেকে অনেক স্পষ্ট হয়েছে।’

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে রিপাবলিকানরা দাবি করেছেন, ঋণের সীমা বাড়াতে গেলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ কমাতে হবে। আর সরকারি অর্থ যারা পাচ্ছে, তাদের কাজ করার বিষয়টি আরো কঠোর করতে হবে। কিন্তু বাইডেন ঋণের সীমা বাড়ানো এবং বাজেট বরাদ্দের বিষয়টিকে জুড়তে চাইছেন না।

ঠিক ছিল, জি-৭ বৈঠকের পর বাইডেন কোয়াড বৈঠকেও যোগ দেবেন। কোয়াড মানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের মঞ্চ। মূলত চীনকে ঠেকানোর জন্যই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

বাইডেন ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে বলেছেন, তিনি যেতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বাইডেন এরপর প্রথম সুযোগেই অস্ট্রেলিয়া আসবেন বলে জানিয়েছেন।

পাপুয়া ও নিউ গিনিতে এখনো পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাননি। তারাও এই সফর বাতিল হওয়ায় হতাশ।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com