তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: ফ্ল্যাগশিপ কিলার স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে চীনে আত্মপ্রকাশ করেছিল ওয়ানপ্লাস। সেই ফোন চীনের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছেগেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে। বলা হয়, আইফোনের পরেই ওয়ানপ্লাস ফোনের কদর। প্রতিষ্ঠানটি এবার এমন একটি ফোন আনল যা ডিএসএলআর ক্যামেরাকেও হার মানাবে। ফোনটির মডেল ওয়ানপ্লাস ১১।
প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আইফোনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে ওয়ানপ্লাসের। নতুন বছরের শুরুতেই নতুন ফোন আনল চীনা প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে অবমুক্ত হয়েছে ওয়ানপ্লাস ১১ মডেল। একই সঙ্গে বাজারে এসেছে কোম্পানির নতুন ওয়্যারলেস ইয়ারবাড ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ২।
ওয়ানপ্লাস ১১ এ রয়েছে দুর্দান্ত ক্যামেরা। বিশ্বখ্যাত ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হেসেলব্লাডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই ফোনের ক্যামেরা তৈরি করেছে চীনা কোম্পানিটি।
ফোনের পেছনে বৃত্তাকার ক্যামেরা মডিউলে রয়েছে তিটি ক্যামেরা ও এলইডি ফ্ল্যাশ। ভালো ক্যামেরা ছাড়াও দুর্দান্ত ডিসপ্লে ও শক্তিশালী প্রসেসর থাকছে এই ফোনে।
ওয়ানপ্লাস ১১ ফোনের রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির টুকে অ্যামোলিড ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লেতে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট পাবেন। ডাইনামিক রিফ্রেশ রেটের জন্য এলটিপিও ৩.০ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে স্লাইডার অ্যালার্ট ফিরিয়ে এনেছে ওয়ানপ্লাস। যা ব্যবহার করে দ্রুত সিলেক্ট করা যাবে এই ফোন। এই ফোনের ভিতরে রয়েছে শক্তিশালী কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেনারেশন ২ চিপসেট।
এটাই বর্তমানে কোয়ালকমের সবথেকে শক্তিশালী মোবাইল প্রসেসর।
ফোনটিতে ১৬ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি স্টোরেজ দেওয়া হয়েছে।
ওয়ানপ্লাসের ১১ এর পেছনের ক্যামেরায় রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। প্রাইমারি ক্যামেরায় রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের সনির আইএমএক্স৮৯০ সেন্সর। সঙ্গে একটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা দিয়েছে চীনা সংস্থাটি।
এছাড়াও রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ২এক্স টেলিফটো ক্যামেরা। হেসেলব্লাডের সঙ্গে হার মিলিয়ে এই ফোনের রিয়ার ক্যামেরা ডিজাইন করেছে ওয়ানপ্লাস। সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
ব্যাকআপের জন্য রয়েছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। সঙ্গে ১০০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট থাকছে। যদিও ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট পাবেন না।
অ্যানড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমের উপরে এই ফোনে চলবে কালার ওএস ১৩ স্কিন।
আপাতত চীনে লঞ্চ হয়েছে ওয়ানপ্লাস ১১। দাম ৩৯৯৯ ইয়েন।