শিরোনাম
গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা পুণ্যের সন্ধানে মহাকুম্ভের পথে পুনম পান্ডে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৫, আহত শতাধিক এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি ফকিরহাটে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আটক ২ লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী

বিশ্বে বাংলাভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি: মোস্তাফা জব্বার

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

ঢাকা: সারা বিশ্বে এখন বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা নিয়ে কিন্তু আসামে আন্দোলন হয়েছে। পৃথিবীর বহু প্রান্তে বাংলা ভাষার আন্দোলন এখনও চলমান। এই হিসাব এখনও অনেকে জানেন না বলে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। ৩৫ কোটি মানুষের ভাষাটা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা। সব পণ্ডিত স্বীকার করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ভাষা হচ্ছে বাংলা। সেই বাংলা ভাষার অধিকারী আমরা এটি একটি গর্বের বিষয়।

বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে ভারতের আগরতলা থেকে বৃহৎ কলেবরে প্রকাশিত ‘আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলার প্রধান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগরতলা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অতি স্মরণীয় একটি জায়গা। আমার স্ত্রী আগরতলায় ১৯ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধ করেছে। আগরতলা শুধু বকুল মোস্তফা নয়, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে কাজ করেছে। সে সময় তারা শুধু ট্রেনিং নয়, সব ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছিল তা অসামান্য। আগরতলা শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিরা বাংলাদেশের প্রতি যে মমত্ববোধ, ভালোবাসা ও সহর্মিতা দেখিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। শুধু তাই নয়, মুজিব বাহিনী গঠনসহ অন্যান্য কাজে অসাধারণ ভূমিকা ছিল। আগরতলাবাসী নিজেরা না খেয়ে খাইয়েছে। না ঘুমিয়ে ঘুমানোর জায়গা দিয়েছে। সেখানে এক কোটি শরণার্থীর পাশাপাশি আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম তাদের যে সহায়তাটুকু পেয়ে আসছি তা অসাধারণ। এই অসাধারণ স্মৃতি যেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মনে রাখে।

মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাবাসী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে স্মারকগ্রন্থ বানিয়েছে তার মাধ্যমে তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা নয়, সমগ্র বাঙালি জাতিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে আমি মনে করি।

স্মারকগ্রন্থের মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন কবি অসীম সাহা। এছাড়াও অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিতিক সেলিনা হোসেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব কবি আসাদুল্লাহ, আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ ও প্রকাশনা পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কবি আসলাম সানি, শাহজালাল ফিরোজ, মেহজাবিন রেজা চৌধুরী, সাদিদ রেজা চৌধুরী। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে আগরতলা থেকে আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ড. দেবব্রত দেব রায়, প্রধান সম্পাদক ড. মুজাহিদ রহমান, সাংবাদিক অমিত ভৌমিক, কবি বরুণ চক্রবর্তী ও আবৃত্তি শিল্পী সেলিম দুরানি বিশ্বাস।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com