অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় বহাল রাখেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন–একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন–মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম এবং নাজমুল আলমের শ্যালক আবদুস সালাম।

গত ১৬ মার্চ উভয়পক্ষের (রাষ্ট্র ও আসামি) করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ (৫ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। এ ছাড়া ছিলেন অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সাগুফতা।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

যে দুজনের ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন–মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের শ্যালক আবদুস সালাম। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন পুলিশ। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com