লা লিগায় সবশেষ ম্যাচে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে বাজেভাবে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাতে লিগে চলতি মৌসুমের অপরাজেয় যাত্রায়ও ভাটা পড়েছিল তাদের। তবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে কোনো ভুল করেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পের নৈপুণ্যে জয় তুলে শীর্ষে ফিরলো জাবি আলোনসোর দল।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভিয়ারিয়ালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে ভিনিসিয়ুস দুটি আর একটি গোল করেছেন এমবাপ্পে। সফরকারীদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জর্জেস মিকাউতাদজে। ৮ ম্যাচে সাত জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা।
এদিন পুরো ম্যাচেই আধিপত্য করে খেলেছে জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ২৬টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল ভিনিসিয়ুস-এমবাপ্পেরা। বিপরীতে ৩০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৯ শটের ২টি গোল লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল ভিয়ারিয়াল। যদিও প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দলই।
এদিন অবশ্য ২২তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল রিয়ালের। তবে এমবাপ্পের পাস পেনাল্টি এরিয়ায় পেয়ে মাস্তানতুয়োনো যে শট নিয়েছিলেন, সেটি ব্লক করে হতাশ করেন রেনাতো ভেইগা। ৪১তম মিনিটে গোল আদায় করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল ভিয়ারিয়ালের সামনেও। তবে তানি ওলুওয়াসেইর শট রিয়ালের জালে বল জড়াতে দেননি গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
প্রথমার্ধের বিরতির দুই মিনিট পরেই ডেডলক ভাঙেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ৪৭তম মিনিটে এমবাপ্পের ফ্লিকে বাইলাইনের কাছে বল পান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। বল পায়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে আরও এগিয়ে গিয়ে দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন। মাঝপথে সান্তি কোমেসানার বাড়ানো পায়ে লেগে বল দিক পাল্টে কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়।
৬৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনি। ডি-বক্সে তাকে ফাউল করে পেনাল্টিটি উপহার দিয়েছিলেন ভিয়ারিয়ালের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রাফা ম্যারিন। দুই মিনিট পরই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ এসেছিল জুড বেলিংহ্যামের সামনে। তবে ভালভার্দের পাস ছয় গজ দূরত্বে পেয়ে গোলরক্ষকের বাধায় জালে জড়াতে পারেননি।
৭৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গতিময় শটে ব্যবধান কমান জর্জেস মিকাউতাদজে। ঝাঁপিয়েও একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি রিয়ালের বেলজিয়ান গোলকিপার কোর্তোয়া। চার মিনিট পর বড় একটা ধাক্কা খায় ভিয়ারিয়াল। ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে সান্তিয়াগো মোরিনো মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সফরকারীরা।
অবশেষে ৮১তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান এমবাপ্পে। ব্রাহিম দিয়াজের পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড। লিগে নিজের নবম গোলটি করে রিয়ালের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে নেন এমবাপ্পে। এর দুই মিনিট পর অবশ্য চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষমেশ ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।