যতক্ষণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে, যতদিন দেশ গণতন্ত্রের রেললাইনে না উঠবে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের শপথ।
আজ সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদ সরকার দেশকে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার পরিকল্পিতভাবে দেশের সকল খাত নষ্ট করে শুধুমাত্র নিজেদের গদি ধরে রাখতে চেয়েছে। তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়েছে।
তিনি জানান, স্বৈরাচার হাসিনা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। নতুন প্রায় ৩ কোটি ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এখন নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার পালা।
তারেক রহমান বলেন, ভয়াবহ স্বৈরাচারের হাত থেকে শিশুরাও নিস্তার পায়নি। রিয়া গোপ নামে ৭ বছরের এক শিশুকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল হাসিনা সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মী গুম খুন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেড় হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকবেই। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এমন কোন মন্তব্য করা ঠিক না, যাতে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে কিছু দল বা গোষ্ঠী।
তিনি জানান, জনগণই বিএনপির সকল ক্ষমতার উৎস। আমাদের ভবিষ্যতের রাজনীতি হবে জনগণের জন্য, জনগণের কল্যাণে। গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি টানা কর্মসূচি পালন করছে মূলত জনগণকে বেশি বেশি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে। আমরা সকল হুমকি এমনভাবে মোকাবেলা করব যাতে জনগণ অখুশি না হয়।
এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের সকল বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। কারণ আগামী নির্বাচন অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে কঠিন হবে। বিএনপি দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সফল হবে।