যুক্তরাষ্ট্র এই বাফার জোনের নেতৃত্বে থাকবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চারজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি জানায়, এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়া।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলে গঠিত বাফার জোনে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মতো ন্যাটো বহির্ভূত দেশ থেকে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এই বাফার জোনের নেতৃত্বে থাকবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চারজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি জানায়, এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়া।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান বা দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে আলোচনায় বসানো নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছেন বলে এনবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মাসে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু সেই বৈঠক থেকে যুদ্ধ বন্ধ কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নতুন আলোচনার কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে খুব কম দেশই এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে স্থলসেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা সেনা পাঠাবে না।

তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নেতারা চাইছেন ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। এই উদ্যোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও পাশে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।