যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন, যার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা যুদ্ধ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় সই করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটে হেগসেথ এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরকারি যোগাযোগ ও চিঠিপত্রে ‘সেক্রেটারি অব ওয়ার,’ ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ এবং ‘ডেপুটি সেক্রেটারি অব ওয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি নাম পরিবর্তন স্থায়ী করার জন্য আইনগত ও নির্বাহী পদক্ষেপের সুপারিশ করতে হেগসেথকে নির্দেশ দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ১৯৪৯ সালের আগে ‘ওয়ার ডিপার্টমেন্ট’ নামেই ডাকা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কংগ্রেস সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখাকে একীভূত করে নাম পরিবর্তন করে রাখে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’। নাম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক যুগে যুদ্ধ প্রতিরোধে মনোযোগী হওয়ার বার্তা দেয়া।
নতুন নামকরণ বাস্তবায়নে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। পেন্টাগনের সদর দপ্তর ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বজুড়ে সেনাঘাঁটির সাইনবোর্ড, নথি ও পরিচয়পত্র সবই পরিবর্তন করতে হবে। এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ। তিনি বলেন, এ অর্থ সামরিক পরিবারের কল্যাণ বা কূটনীতিক নিয়োগে ব্যয় করা যেত।
তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হেগসেথ নাম পরিবর্তনকে সমর্থন করে বলেন, এটি শুধু শব্দের পরিবর্তন নয়, বরং “যোদ্ধার নীতি” প্রতিফলনের বিষয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ‘প্রতিরক্ষা নামটা খুব প্রতিরক্ষামূলক। প্রয়োজনে আমাদের আক্রমণাত্মকও হতে হবে।’
কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় এই নাম পরিবর্তন কার্যকর হওয়ার পথে বড় কোনো বাধা থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স