শিরোনাম
লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী লস অ্যাঞ্জেলেসে কষ্টের কথা জানান নোরা শেষ মুহূর্তে উসমান ম্যাজিক, হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির আসিফ নজরুলকে শেখ হাসিনার বিষয়ে যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া নারী সহকর্মীকে খুন করে দেহ ২৬ টুকরো, অতঃপর…… ২৯ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ, থাকবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত

নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বিএনপির

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে দলের হাজারো নেতাকর্মীর মাঝ থেকে হতাশা দূর করতে সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

ইতিমধ্যে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সারাদেশে সাংগঠনিক সফরের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ছাত্রদল সাংগঠনিক সফর। শনিবার নয়াপল্টন কার্যালয়ে কৃষক দলের সভায় সাংগঠনিক সফরসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। যুবদল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা সফর করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মূলত অব্যাহত কর্মসূচির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি।

এ লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা। ধারাবাহিক সমাবেশের পাশাপাশি আসছে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ও যুবদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে গত ১ মে শ্রমিক দিবসে বড় ধরনের শোডাউন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। প্রতিটি সমাবেশেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি দলটির মাঝে সৃষ্টি হয়েছে উদ্দীপনা। এসব সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠের কর্মসূচিতে ফিরছে বিএনপি। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখা এবং চলমান উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মিসভা করছে বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও চলছে সাংগঠনিক সভা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দীর্ঘ গ্যাপের পর সমমনা জোটগুলোর সাথে আবারও মিলিত হচ্ছেন বিএনপি। রবিবার দলটির গুলশান কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট এবং সোমবার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সাথে বৈঠক করে বিএনপি। আগামীতে কিভাবে জোটের কার্যক্রম আরও বেগবান করা যায় তা নিয়ে হয় আলোচনা। পাশাপাশি সামনের কর্মসূচি নিয়েও সকলের মতামত নেওয়া হয় বলে বৈঠক সূত্র জানায়।

বিএনপি নেতারা জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করতে আবারও রাজপথে সক্রিয় হতে চাইছে দলটি। সেজন্য ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় করতে চাইছে দলটি। সে লক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটির নেতারা।

নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারাদেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করছে।

বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যেকোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে।

এদিকে নতুনভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের চিন্তা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া গত শুক্র ও শনিবারের সমাবেশের পর ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত কর্মসূচি পালন নিয়েও আলোচনা হয় এই সভায়।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ৪ মাস সাংগঠনিকভাবে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এবং পুনরায় কর্মসূচিমুখী হতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি কথা বলছেন নেতাকর্মীদের সাথে। দলের কারাবন্দি ও নির্যাতিত নেতা এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক নির্যাতিত নেতাদের বাসভবনে যাচ্ছেন নিয়মিত। আর্থিকভাবে অসচ্ছল নেতাকর্মীদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নয় মাসে দেশ স্বাধীন করেছি, কিন্তু ৫০ বছরেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। যুদ্ধ শুরু হলে শেষ হয়, কিন্তু জাতির মুক্তির সংগ্রাম অনন্তকাল।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের দাবিতে আমরা দেড় দশক সংগ্রাম করে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারবো ততদিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। কখনো জোরালো হয় আবারও কখনো ভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। জনগণের দাবি এখনো অর্জিত হয়নি। অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কর্মসূচি চলবেই। উপজেলা নির্বাচন বর্জন এটিও আমাদের আন্দোলনের একটি অংশ।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা কিছুটা ক্লান্ত, কিন্তু হতাশ নয়। ক্লান্তি দূর করতে যতটুকু বিশ্রামের প্রয়োজন তারা তা নিয়েছে। এখন নেতাকর্মীরাই উজ্জীবিত হয়ে রাজপথে কর্মসূচি চাচ্ছেন। আমরাও আমাদের সতীর্থ বন্ধুদের (সমমনা জোটগুলো) সাথে আলোচনায় বসছি। সামনে কিভাবে রাজপথ উত্তপ্ত করা যায়, কি কর্মসূচি দেওয়া যায়। তা নিয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com