ঢাকা: যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগসহ একদফা দাবিতে আজ (৩১ অক্টোবর) থেকে বিএনপির ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই অবরোধের সমর্থনে সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ১২ দলীয় জোট। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় জোটের নেতারা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ ও তার ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের নির্যাতন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছেন, সমালোচনা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই অত্যাচার ও মামলার খড়গ নেমে এসেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট-২০১৮ এর কবলে পড়ে অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, লেখক, কলামিস্ট ও সুশীল সমাজের অন্যান্য সদস্যরা অত্যাচারিত হয়েছেন, পুলিশি হেফাজতে ও কারাগারে নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেছেন। গুমঘর আর আয়নাঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয়েছে অসংখ্য বেদনার ইতিহাস। বিচারবহির্ভূত হত্যা আর গুম হয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্য আর ছোট্ট অবুঝ সন্তানদের চোখের পানি শুকিয়ে গেছে।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে যুক্ত তার স্বপক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমান দাখিল করেছে।
নেতারা বলেন, নজিরবিহীন অত্যাচার, নির্যাতন, ও খুনের শিকার হয়েও গণতন্ত্রের পক্ষের দলগুলো সহিংসতার পথ বেছে নেয়নি। নেতাকর্মীরাও শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যৌক্তিক দাবির সাথে একমত পোষণ করে গণতন্ত্রের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একত্রে জোর আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। গণতন্ত্রের পক্ষের সব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশগুলো একটি সুষ্ঠু ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর এ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি জাকির হোসেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, সহ-সভাপতি সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ইসমাইল রেজা, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, নূরুল কবির পিন্টু, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, সারোয়ার আলম।