সিরিয়ায় মিলিটারি কলেজে ড্রোন হামলা, নিহত শতাধিক

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার হোমস প্রদেশের একটি সামরিক কলেজে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৪০ জন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।

এদিকে, দেশটির মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ১২৫ জন আহত হয়েছেন। সিরিয়া সরকারকে সমর্থনকারী জোটের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০।

সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-গাবাশ অবশ্য হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও কম বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে তিনি বলেন, হামলায় ছয় শিশুসহ ৮০ জন নিহত হয়েছেন। তবে আহত হয়েছেন প্রায় ২৪০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই একাডেমির মিলনায়তনে সেনাসদস্যদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। দেশটির সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার আনুমানিক ২০ মিনিটের মধ্যে ড্রোন হামলা হয় সেই একাডেমিতে।

এর আগে সিরিয়ান সেনাবাহিনী বলেছিল, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার পরপরই বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনটি সেখানে হামলা চালায়। এ হামলার জন্য ‘পরিচিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট’ যোদ্ধারা দায়ী।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হোমসে ড্রোন হামলার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ‘প্রতিশোধমূলক গোলাবর্ষণের খবরে’ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

একটি সূত্র বলছে, এ হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলী মাহমুদ আব্বাস আহত হয়েছেন। তবে সিরিয়ার একটি নিরাপত্তা সূত্র ও সরকার সমর্থক একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, তবে হামলার কয়েক মিনিট আগে তিনি চলে যান।

বাশার আল আসাদের পদত্যাগের দাবিতে সিরিয়ায় ২০১১ সালে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু জনগণের সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে ব্যাপক সহিংসতা চলায় দেশটির সরকারি বাহিনী। সেই সহিংসতার জেরেই জন্ম নেয় একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। একপর্যায়ে সরকারি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

১২ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার ভূখণ্ডের কিছু অংশ বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেলেও বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি। রাশিয়া ও ইরানের সমর্থন নিয়ে তিনি এখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com