বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না : তথ্যমন্ত্রী

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি হত্যা-খুনের রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে, খুনের রাজনীতি করে। বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তারেক রহমান ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে। আর ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছে জিয়াউর রহমান। এরা যতোদিন রাজনীতির মাঠে থাকবে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না, ঘৃণা এবং সাংঘর্ষিক রাজনীতি কখনো যাবে না।’

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিলো। ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তখনকার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি এবং জঙ্গিগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেখানে যে গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিলো সেগুলো সেনাবাহিনী যুদ্ধ ময়দানে ব্যবহার করে। এই গ্রেনেড তো সন্ত্রাসীদের কাছে থাকার কথা না। এগুলো সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তা আলামত হিসেবে একটি গ্রেনেড রেখে দিয়েছিলো। সে কেন রেখে দিলো সে জন্য তাকে সেনাবাহিনী থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ অন্য সব আলামত ধ্বংস করা হয়েছিলো, হামলার স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়েছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা সে দিন আহত হলেও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভাগ্যক্রম বেঁচে গেছেন, আমাদের নেতারা বঙ্গবন্ধুকন্যার চারপাশে মানবঢাল তৈরি করেছিলো। আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী সে দিন নিহত হয়েছে, পাঁচশ’রও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। কিন্তু সংসদে একটি শোক প্রস্তাব আনতে বা কোনো আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি, বরং হাস্যরস করা হয়েছে।’

সাংবাদিকরা এ সময় ‘দেশ-বিদেশের কিছু মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠন ২১ আগস্ট বিষয়ে সরব নয়’ এ বিষয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কিছু মানবাধিকার ব্যবসায়ী আছে, দেশেও আছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও আছে। কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। আর কিছু দেশ মানবাধিকারকে একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে অন্য দেশকে ঘায়েল করার জন্য। যারা এগুলো করে তাদের দেশে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, সেটি নিয়ে তো কোনো কথা হয় না। যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বা অগ্নিসন্ত্রাসের নিন্দা জানায় না, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক বিষয় আখ্যা দিয়ে কিছু বলতে চায় না, এরা আসলে মানবাধিকারকর্মী বা মানবাধিকার সংগঠন নয়, এরা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com