তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন ইন্টারনেট ছাড়া যেন অচল। ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও অনেকেই এর মানে জানে না। ইন্টারনেট কী, তা সহজ কথায় বলতে গেলে, দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের সংযোগকে ইন্টারনেট বলা হয়। আমেরিকান গোয়েন্দা বিভাগ দুইটি কম্পিউটারকে একসঙ্গে যুক্ত করে এই পরিষেবা শুরু করেছিল। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নিরাপদে গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদানের জন্যই ব্যবহৃত হয়েছিল এটি।
how internet works/ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে?
ইন্টারনেট আসলে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে অন্য কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে। এর মাঝখানে আরেকটি জিনিস, যার নাম সার্ভার। এই সার্ভারগুলোকে একত্রিত করে ডেটা সেন্টার বা ডেটা রুম তৈরি করা হয়।
গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে যে তথ্যই চাওয়া হোক না কেন, সেই তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে আসবে তার ডেটা রুমে উপস্থিত পরিষেবা থেকে।
ডেটা সেন্টারে অনেকগুলো সার্ভার রয়েছে, যেখানে ইন্টারনেটে উপস্থিত সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। সারা বিশ্বের সমস্ত কম্পিউটার এই ডেটা সেন্টারগুলির সঙ্গে যুক্ত। অনেক সংস্থার ডেটা সেন্টার রয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ডেটা সেন্টার সংস্থা হল আমেরিকার কেডিডিআই। যার সদর দফতর নিউইয়র্কে। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যামাজন। গুললের নিজস্ব ডেটা সেন্টারও রয়েছে।
যখনই ইন্টারনেটে কোনও তথ্য জানতে চাওয়া হয়, তখন সেই অনুরোধ ডেটা সেন্টারে যায়। সেখানে সার্ভারে সমস্ত তথ্য রয়েছে। এর পরে সেখানে ইনস্টল করা একটি বিশেষ কম্পিউটার, যাকে রাউটার বলা হয় তা নির্ধারণ করে কীভাবে এই তথ্য ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে পাঠানো হবে।
এরপরে, তারযুক্ত এবং বেতার নেটওয়ার্কগুলোর একটি সিরিজে বাহিত হয়ে তথ্যগুলো প্রথমে ইন্টারনেট প্রোভাইডারের কাছে এবং তারপরে ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে পাঠায়।
ডেটা সেন্টারে উপস্থিত সার্ভারগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এগুলো এক ধরনের পাতলা তার, একটির মধ্যে অনেকগুলো থাকে৷ অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সারা বিশ্ব জুড়ে সমুদ্রের তলদেশে অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে, যা এই ডেটা সেন্টারগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
ইন্টারনেট পৌঁছায় তিনটি সংস্থার সাহায্যে। এক, স্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। দুই, যে সংস্থা সমুদ্রে অপটিক্যাল ফাইবার রাখে। তিন, ডেটা সেন্টার সার্ভিস কোম্পানি। এখান থেকেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে তথ্য আসে।