ঢাকা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী ডাঃ জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের ফরমায়েশি সাজার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এগ্রিকালচারিস্ট’স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাবের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কৃষিবিদ নেতৃবৃন্দ মনে করেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি নীল-নকশা অনুযায়ী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ রায় দেয়া হয়েছে। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এ ধরণের ফরমায়েশি রায়ের কারণে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাচ্ছে।
জনাব তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডাঃ জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সাক্ষ্য নিয়ে রায় প্রদানের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে জনাব তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণীকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের নতুন খেলায় মেতে উঠেছে বর্তমান নিশী রাতের অবৈধ সরকার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, দেশে লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এই মামলায় মাত্র ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। নজির বিহীনভাবে রাতেও তাদের একতরফা সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জনাব তারেক রহমানের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচারকাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছেন। তাদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
আমরা মনেকরি একদফা দাবিতে দেশবাসী যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছে এতে ভীত হয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত এবং বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হতাশ করতে সরকারের নির্দেশে এ ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে।
গোটা দেশের সকল সরাসরি দপ্তরে মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে সর্বস্তরে উন্নয়নের নামে হরিলুট করছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও দলীয় মদদপুষ্ট ব্যবসায়ী আমলারা। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশের টাকা লুটে বিদেশে বেগম পাড়া গড়েছে। প্রতিদিন পত্রিকা এসব দুর্নীতির খবর ফলাও করে ছাপা হলেও দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দুদকের কাজই হচ্ছে জিয়া পরিবাররের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা।
আমরা অবিলম্বে এ ধরণের ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানাচ্ছি।