ঢাকা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, জনগণই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে, বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের আর রেহাই নেই ।
বুধবার (১৯ জুলাই) শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এই সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তারা অবিলম্বে এই সরকারের পতন চায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এক দফার আন্দোলন চলবে। অবৈধ সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবৈধ হাসিনা সরকারের অধিনে নির্বাচন নয়। সরকার গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছে। অবিলম্বে পদত্যাগ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করেই দাবি আদায় করব এবং জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, আমরা জনগণকে মুক্ত করতে চাই এই সরকারের পতনের মাধ্যমে। যারা শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করবে, তারাও ভোট চুরির অংশীদার। এই আন্দোলন যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তারাও সমান অপরাধে অপরাধী।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এই সমাবেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে চুড়ান্ত আন্দোলনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে চালিয়ে যেতে হবে। এ অবৈধ সরকার জোর করে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান, পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির সিদ্দিকী, হারুনুর রশীদ শিশির, কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, এড.আজিজুর রহমান আকন্দ, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, মো. দুলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সহ-ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রুমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু, মিজানুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।